টাকার অভাবে কারও লেখাপড়া বন্ধ হবে না’, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সূচনা করে আশ্বাস মমতার :
ভাোটের আগেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চালু হল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এই কার্ডের জন্য।
বুধবার নবান্ন থেকে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘আমরা কথা রাখি। আগেই সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, ঐকশ্রী -সহ একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে। ভাোটের আগে পড়ুয়াদের জন্য যে ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা চালু করা হল। টাকার অভাবে আর কারও লেখাপড়া বন্ধ হবে না।’ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে এই কার্ড।
প্রথমেই বলে রাখি নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটির সমস্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আবেদন করতে পারবে
কি কি লাগবে রেজিস্ট্রেশন করতে?
1.পড়ুয়ার কালার ফটোগ্রাফ
2.মূলত অভিভাবক ছবি
3.পড়ুয়া ও অভিভাবক সইয়ের ছবি (সাদা কাগজে সই করে ছবি তুলে রাখা)
4.আধার কার্ড বা তা না থাকলে পড়য়ার মাধ্যমিকের বাোর্ড রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট
5. অভিভাবকের অ্যাড্রেস প্রুফ
6.যে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন- সেখানকার অ্যাডমিশন রিসিপ্ট
7.পড়ুয়া ও অভিভাবকের প্যান কার্ড অথবা প্যান না থাকলে নেই বলে একটি শর্তসাপেক্ষ আবেদন
8. যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন তার ডিটেল কোর্স ফি, টিউশন ফি যে অংশে লেখা আছে তার ছবি (এই ছবিগুলির নির্দিষ্ট ফরম্যাট ও সাইজ আছে)
9.মাোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি থাকতে হবে
কোন কোন ক্ষেত্রে এই কার্ডের ব্যবহার?
1.স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা পেশাদারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও প্রতিযাোগিতামূলক পরীক্ষার (ইঞ্জিনিয়ারিং মেডিক্যাল,
2.আইন, আইএএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস, ব্যাঙ্কিং, রেলওয়ে, এসএসসি প্রভৃতি) কোচিং সেন্টারের ফি
3. হস্টেল ও পেয়িং গেষ্টের খরচ
4.শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া রসিদ সাপেক্ষে কশান মানি, অন্য ফেরৎযাোগ্য জামানত, বিল্ডিং ফান্ড, পরীক্ষা, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরির খরচ বই, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার টাকা।
5. শিক্ষামূলক ভ্রমণ, প্রজেক্ট, থিসিস ও কোর্স শেষ করতে অন্য প্রয়াোজনীয় খরচ
6.সম্পূর্ণ কোর্স শেষ হওয়া অবধি মাোট অনুমাোদিত ঋণের (সর্বোচ্চ। ১০ লক্ষ টাকা) সর্বাধিক ৩০ শতাংশ টাকা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত খরচ অথাৎ বই, ল্যাপটপ, কম্পিউটার কেনা, প্রজেক্ট, থিসিসে ব্যবহার করা যাবে
7.মাোট অনুমাোদিত ঋণের সর্বাধিক ২০ শতাংশ অর্থ হলে বা পেয়িং গেষ্ট থাকার খরচ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন
www.wb.gov.in অথবা https://banglaruchchashiksha.wb.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে স্টুডেন্ট
ক্রেডিট কার্ড লেখা অংশে ক্লিক করলে https://wbscc.wb.gov. .in সাইটটি খুলবে। সেখানে রেজিষ্ট্রেশন অফ স্টুডেন্ট অপশনে ক্লিক করুন। ফর্ম খুলবে। প্রয়াোজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিষ্টার বাোতামে ক্লিক করলে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড আসবে এই ভাবে রেজিষ্ট্রেশন শেষে মাোবাইলে একটি ইউনিক আইডি। এসএমএসে আসবে। এই ইউনিক আইডিটিই আগামী দিনে ইউজার আইডি হিসেবে গণ্য হবে।
এর পর স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের লগ-ইন আইডি পড়ুয়ারা পেয়ে যাবেন এবং যখন দরকার সেই মতাো পাোটালে ঢুকে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ও পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা ফিল ইন করে নিজের অ্যাকাউন্টে ঢুকতেপারবেন। যেখানে নিজের ছবি- সহ অন্য সব তথ্য ঠিক আছে কি না দেখে নিতে হবে
লোনের জন্য আবেদন করার ফর্ম নিজের অ্যাকাউন্টেই পাওয়া যাবে। সেখানে ক্লিক করলে ফর্মটি খুলবে। প্রয়াোজনীয় তথ্য এবং নথি আপলাোড করে ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে।
এই প্রক্রিয়া শেষে আপলাোড করা নথিপত্র যাচাই করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে শিক্ষা দপ্তরে। শিক্ষা দপ্তর তা আরও এক দফা যাচাই করে পাঠিয়ে দেবে ব্যাঙ্কে। সব শেষে ব্যাঙ্ক নথি যাচাই করে ঋণের টাকা দেবে
কী কী প্রমাণ আবশ্যিক?
যে যে খাতে খরচ হল—তার রসিদ, প্রামাণ্য যাবতীয় কাগজপত্র জমা করতে হবে।
যে যেখানে পড়াশাোনা করছেন সেখানকার রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট, মার্কশিট, সেমেস্টারের রেজাল্ট নির্দিষ্ট সময়ের পর দেখাতে হবে। তবে ঋণ পাওয়ার জন্য পরীক্ষার নম্বর বিবেচ্য নয়।
ব্যাঙ্ক কোনও রকম মর্টগেজ, মুচলেকা, কশান মানি চাইবে না। রাজ্য সরকারই গ্যারেন্টার থাকবে
যাোগ্যতা
অন্তত ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ও ভারতীয় নাগরিক হতে হবে
দেশে-বিদেশে যে কোনও রকম পড়াশাোনা বা প্রতিযাোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টপ্রতিষ্ঠানে নাম নথিভুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক
সর্বোচ্চ বয়স ৪০ বছর
কোন ক্ষেত্রে ঋণ?
.উপরে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে পড়াশাোনার খরচ ও প্রতিযাোগিতামূলক পরীক্ষারপ্রশিক্ষণের জন্য
হস্টেল বা পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকার জন্য
ফি দেওয়া, শিক্ষামূলক ভ্রমণ, প্রজেক্ট,থিসিস এবং পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণ করতে
বই, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিনতে
আর্থিক সহায়তার পরিমাণ
সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ বার্ষিক ৪% হারে সরল সুদে
স্কুলস্তর থেকে পাোস্ট ডক্টরাল পর্যন্ত। যে কোনও সময়ে ঋণ মিলবে।
বাবা-মা অথবা আইনি অভিভাবক ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন। কিন্তু কোনও কশান মানি, সিকিউরিটি ডিপাোজিট বা মর্টগেজ রাখতে হবে না
ঋণ শাোধের নিয়ম
পাঠ্যক্রম শেষ হওয়া অথবা ছাত্রছাত্রীদের চাকরিতে যাোগদানের পর থেকে এক বছর ঋণ পরিশাোধ স্থগিত রাখা যাবে
চাকরি পাওয়ার পর ১৫ বছর সময় থাকবে ঋণ শাোধের
ANYQUESTIONREGARDINGTHISTOPIC
CANTACT=TOLL FREE CALL AT 18001028014
No comments:
Post a Comment
how can we help you